নিহত এসপিবিএন সদস্যের একটি গুলির হিসাব নেই
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের সামনে গুলিতে নিহত স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) সদস্যের কাছে থাকা গুলির মধ্যে একটি গুলির খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিস ফায়ার বা ভুল করে গুলি চলে যাওয়ায় নিজের বন্দুকের গুলিতেই মারা গেছেন আতিকুর রহমান (২৮) নামের ওই সদস্য।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আবাসিক সার্জন জেসমিন নাহার জানান, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে আতিকুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এই চিকিৎসক বলেন, ‘নিহত পুলিশের বুকের ডান পাশে একটি গুলি রয়েছে।’
এই বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস আজ শনিবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নিহত পুলিশ সদস্য এসপিবিএন ২-এ কাজ করছিলেন। গতকাল রাতে ৪ নম্বর গেটের কাছে দায়িত্ব পালন করার সময় মিস ফায়ারের কারণে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ওসি আরো জানান, দায়িত্ব পালনকালে তাঁর কাছে ২০টি গুলি ছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট নিহত পুলিশ সদস্যের অস্ত্র ও ১৬টি গুলি জব্দ করেছে। অস্ত্রটির ম্যাগাজিনের ভেতর দুটি গুলি এবং চেম্বার থেকে একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ১৯টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একটি গুলির হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আতিকুরের শরীরে যে গুলিটি রয়েছে সেটিই ২০ নম্বর গুলি। সম্ভবত মিস ফায়ারের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ করা অস্ত্রটি ব্যালাস্টিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই আতিকুরের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি।
এদিকে যে স্থানে আতিকুর নিহত হয়েছেন সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে, এসপিবিএন কর্তৃপক্ষের বরাত দিতে ওসি জানিয়েছিলেন, নিহত পুলিশ সদস্য আতিকুর গণভবনের উত্তর পাশের গেটসংলগ্ন মসজিদের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় নিজের অস্ত্রের গুলি তাঁর ডান বুকে লেগে থাকতে পারে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া জানান, আতিকুর রহমানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসপিবিএন সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁরা জানান, আতিকুর সে সময় দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন। তবে কীভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা জানাতে পারেননি তাঁরা।