ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকসহ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রার্থী মারা যাওয়ায় কিছুদিন আগে মালিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রার্থী হন জোসনা বেগম ও শিউলী বেগম। এঁদের মধ্যে জোসনা বেগম ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বুধল গ্রামের আলমের সমর্থক। অন্যদিকে শিউলী বেগম মালিহাতা গ্রামের প্রভাবশালী তৈয়ব মিয়ার সমর্থক। আলম ও তৈয়ব মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। নির্বাচনে শিউলী বিজয়ী হওয়ার পর থেকে বুধল ও মালিহাতা গ্রামের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষে চলাকালে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. মঈনুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করে পুলিশ।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।