ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ওই ঘটনা ঘটে। মামলা করা হয়েছে ১৫ মে।
মামলার বাদী ওই কলেজছাত্রীর বাবা ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ নম্বর কাচিনা ইউনিয়নে তাঁর বাড়ি। তাঁর মেয়ে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ময়মনসিংহ শহরে ভাড়া বাসায় থেকে কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করে সে। মামলার প্রধান আসামি আলমগীরসহ আরো কয়েকজন প্রায়ই প্রাইভেটকারে করে ভালুকা থেকে ময়মনসিংহ গিয়ে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত ও কুপ্রস্তাব দিত।
১১ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে আলমগীরসহ আসামিরা ময়মনসিংহ শহর থেকে জোর করে মেয়েটিকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। তারা তাকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে বান্ধবীরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এত পরে মামলা করার বিষয়টি জানতে চাইলে ওই ছাত্রীর বাবা জানান, আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় দীর্ঘদিন তাঁরা বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
কলেজছাত্রীর বাবার দাবি, মামলার পরও পুলিশ এখনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিরা ছাত্রলীগ নেতা ও প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হক সজীব জানান, মামলার বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন। আলমগীরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের সঙ্গে। তবে একবারও কলটি রিসিভ হয়নি।