চাকরিতে ফিরছেন বিএসএমএমইউর ১৪০ চিকিৎসক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চাকরিচ্যুত ১৪০ চিকিৎসককে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। চিকিৎসকদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, কামরুল হক সিদ্দিকী, এ এম আমিন উদ্দিন ও শরীফ ভূঁইয়া।
গত ১৭ মে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২১ মে দিন নির্ধারণ করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েকশ চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরে ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান। এই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা আপিলের অনুমতির জন্য আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ আপিল করার অনুমতি দেন।
আবেদনকারীদের চার সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ সময়ের পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার দিতে বলা হয়।
এরপর ১৪০ জন চিকিৎসক পৃথক পাঁচটি আপিল করেন, যার ওপর বুধবার শুনানি শেষ হলো। চিকিৎসকদের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে এসব চিকিৎসক বেতন পাচ্ছেন না। একই বছরের এপ্রিল থেকে হাজিরায় সই করতে দেওয়া হচ্ছে না।