পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণ, অটোচালকসহ দুজনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মুক্তাগাছা উপজেলার সুমন ওরফে সুমার আলী ও আবুল কালাম।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে জামালপুরের এক নারী পোশাকশ্রমিক ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পৌঁছান। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এক যাত্রী ও চালকসহ জামালপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। অটোরিকশা সৈয়দপাড়ায় পৌঁছালে সুমন ওই পোশাকশ্রমিককে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে। অটোরিকশাচালক আবুল কালাম ও সুমন পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে চেচুয়া বাজারে ফেলে পালিয়ে যায়।
এরপর ওই পোশাকশ্রমিক অটোরিকশার মালিকের সন্ধান বের করে স্থানীয় হারুন, হোসাইন, লিটন ও সোহেলের সহায়তায় দুই ধর্ষককে শনাক্ত করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশে দেন। ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন।
আদালত ভিকটিম, চিকিৎসক, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এই রায় দেন। রায়ে বলা হয়, দণ্ডাদেশ পাওয়া দুজন ৬০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ পাবেন এবং তাদের হাজতবাসের সময় সাজা থেকে রেয়াত পাবেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. কবীর উদ্দিন ভূইয়া। আসামিপক্ষের ছিলেন আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু।