টয়লেটে গিয়ে একে একে বের করেন ১২ সোনার বার
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক যাত্রীর পায়ুপথ থেকে ১২টি সোনার বার বের করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে শারজাহ হয়ে আসা ওই যাত্রীকে আটক করা হয়।
এটি সমসাময়িককালে শরীরের ভেতর পায়ুপথে আনা অন্যতম বৃহৎ সোনার চালান বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। আটক ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ বেলাল (৩৭)। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাটে।
শুল্ক গোয়েন্দা, বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, যাত্রী মোহাম্মদ বেলাল আজ সকাল ১০টায় এয়ার আরাবিয়া জি-৯০৫২১ ফ্লাইটে করে শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকালে শুল্ক গোয়েন্দার দল তাঁকে আটক করে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে তাঁকে শনাক্ত করে বিমানবন্দর কাস্টমস হলে নেওয়া হয়। যাত্রীকে আর্চওয়ে দিয়ে হাটিয়ে সোনার বারের বিষয়ে অস্তিত্ব নিশ্চিত হয় শুল্ক গোয়েন্দার দল। মেটাল ডিটেক্টরেও পেটে সোনা থাকার সিগন্যাল পাওয়া যায়।
মোহাম্মদ বেলাল প্রথমে সোনা থাকার কথা স্বীকার করেননি। এক পর্যায়ে তাঁকে বন্দর হাসপাতালে নিয়ে তলপেট কেটে সোনা বের করার কথা জানানো হয়। অবশেষে তিনি শরীরে সোনা থাকার কথা স্বীকার করেন। তখন তাঁকে লুঙ্গি ও পলিথিন দেওয়া হয়। তিনি টয়লেটে গিয়ে একে একে ১২টি সোনার বার বের করেন। এই সোনাগুলো তিনটি করে চারটি পোঁটলায় সাদা টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।
শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বারগুলোর ওজন প্রতিটি ১০ তোলা করে মোট ১ দশমিক ৩৯২ কেজি। আটক সোনার মূল্য আনুমানিক ৬৫ লাখ টাকা। যাত্রী মোহাম্মদ বেলালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।