ভৈরবে কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষতি, একজন নিহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় কালবৈশাখীতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পুরো এলাকা হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎবিহীন।
বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাড়ির উঠানে পড়ে তাতে জড়িয়ে বাবুল মিয়া (৫৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কাউসার (৩৫) নামের এক ব্যক্তি।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে এই কালবৈশাখীর তাণ্ডব বয়ে যায়। ওই সময় ভৈরবে মেঘনা নদীর পাড়ে আশুগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ১৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের একটি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। টাওয়ার ভেঙে পড়ায় গতকাল রাত থেকে পুরো ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ঝড়ের কারণে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ভৈরব-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর গাছ পড়ে মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে প্রায় ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মহাসড়ক দুটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা রাতভর গাছ সরিয়ে নেওয়ার কাজ করেন। পরে ভোর ৪টার পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক।
ঝড়ের সময় ভৈরব পৌর এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলের বড় বড় গাছ, বিভিন্ন বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে। বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। উড়ে যায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনের চালা। বিদ্যুতের খুঁটিসহ তার ছিঁড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
এদিকে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় বেশ কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।