নিখোঁজ কওমি শিক্ষকের সন্ধান দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
ময়মনসিংহে পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক শহিদুল্লাহ সরকারের সন্ধান দাবিতে মানবববন্ধন করেছেন আলেমরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহরের শাপলা চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়। ইত্তেফাকুল ওলামা মোমেনশাহী জেলা শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মাওলানা শহিদুল্লাহ সরকার ইত্তেফাকুল ওলামার জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক ও ছাওতুল হেরা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। পাঁচদিন আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে শহরের খাগডহর এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে তাঁর পরিবার।
এদিকে, আজ সকালে নিখোঁজ শহিদুল্লাহ সরকারের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ময়মনসিংহে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক বরাবর স্বামীকে উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। সেই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল তাঁর স্বামীর মোবাইল থেকে তাঁকে ফোন করে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
র্যাব ১৪-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শরিফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শাহনাজ পারভীনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চাঁদা দাবিকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে তাঁকে উদ্ধারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।’
মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুনজুরুল হক বলেন, ইত্তেফাকুল ওলামা সরকারের প্রতি আস্থা রেখে দুই যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে। সংগঠনটির নেতা পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে না দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এ ছাড়া পাঁচদিনেও নিখোঁজ শিক্ষকের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের খান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। শহিদুল্লাহ সরকারকে প্রশাসন তুলে না নিয়ে থাকলে তাঁকে বের করার দায়িত্ব প্রশাসনের। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাওলানা শহিদুল্লাহকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারলে অন্য বক্তারাও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মুফতি মুহিবুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন প্রমুখ।