ভৈরবে আগুনে পুড়ে গেছে ১৫টি কারখানা
ভৈরবের কমলপুর এলাকার হাজী পাদুকাপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি জুতার কারখানা পুড়ে গেছে। আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই কোটির টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন কারখানার মালিকরা।
জুতার কারখানার কারিগর রফিক, হুসেন ও আমজাদ মিয়া এনটিভি অনলাইনকে জানান, প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে ভোর ৫টার দিকে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৭টার দিকে প্রচণ্ড উত্তাপে ঘুম ভেঙে তাঁরা দেখেন কারখানাটি দাউ দাউ করে জ্বলছে।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আফাজ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মশার কয়েল অথবা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে লোকজন ধারণা করলেও তিনি এ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বেশির ভাগ কারখানার মালিক বাচ্চু মিয়া ও লায়েছ মিয়া। তাঁরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে তাঁরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। উৎপাদিত জুতা এবং আনুষঙ্গিক কাঁচামাল পুড়ে তাঁদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি তাঁরা কোনোভাবেই পুষিয়ে উঠতে পারবেন না।
ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, ১৫টি কারখানায় উৎপাদিত জুতা, জুতা তৈরির কাঁচামালসহ দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে নতুন করে উৎপাদন শুরু করায় সহায়তা করতে ব্যাংকসহ সরকারের অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শত শত লোক ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর ভিড় করায় প্রায় দুই ঘণ্টা ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন র্যাব-১৪ ও ভৈরব থানা পুলিশের সহায়তায় লোকজনকে সরিয়ে দিলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।