হাওর নিয়ে ত্রাণসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় শহরের আলফাত স্কয়ারে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ নামের সংগঠন।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব বিন্দু তালুকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বিজন সেন রায়, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হোসেন পীর, লেখক মোরশেদ আলম, ইয়াকুব বখত বহলুল, অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, রুহুল তুহিন, শেরে নুর আলী, এনাম আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নির্বাহী পরিচালক নির্মল ভট্টাচার্য, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, কৃষক নেতা রুহুল আমিন, কৃষক আবদুল কাইয়ুম, সাংবাদিক এমরানুল হক চৌধুরী, উন্নয়ন সংগঠক সালেহীন চৌধুরী শুভ, এ কে কুদরত পাশা, সংস্কৃতিকর্মী রাজু আহমদ, সামির পল্লব ও প্রদীপ পাল।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমন দুর্যোগ মুহূর্তে সুনামগঞ্জকে নিয়ে এমন ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্য দেওয়া হাওরবাসীকে নিয়ে তামাশার শামিল। অবিলম্বে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিবের বক্তব্য প্রত্যাহার দাবি করেন বক্তারা।
গত বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের এ বক্তব্যে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় সেখানে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম উপস্থিত ছিলেন।
এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সুনামগঞ্জে বিভিন্ন সংগঠন সচিবের অপসারণ দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। জাতীয়ভাবেও এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। যদিও সচিব দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্য বিকৃতভাবে পরিবেশন করা হয়েছে।
সেই সভায় সচিব মো. শাহ কামাল বলেছিলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় একটি আইন আছে, এই আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে দুর্গত ঘোষণা করতে হলে, প্রথমে সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিতে হবে এবং দেশে কোনো খাদ্য থাকবে না, খাদ্যগুদাম খালি থাকবে। এখানে সাত হাজার মেট্রিক টন চাল এখনো মজুদ আছে।’