‘মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা কার পেছনে দৌড়াইছেন?’
বিএনপি ইসলামের উন্নয়ন চায় না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ প্রশ্ন করে বলেছেন, মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এতদিন না বুঝেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পেছনে দৌড়েছেন।
আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন হানিফ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে এসেছে, একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এভাবেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। এই ভাবেই দেশ এগিয়ে যাবে। এর বিকল্প আর বাংলাদেশে কেউ নেই। ওই বিএনপি-জামায়াত আর কাউকে দিয়ে এই বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ হবে না এবং সেটা সম্ভবও না, তা জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘এই বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষের দেশ, কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের জন্য নয়। এখানে মুসলিম থাকবে, হিন্দু থাকবে, বৌদ্ধ থাকবে, খ্রিস্টানসহ সকলেই থাকবে। আমরা চাই, শুধু রাজনীতি করে ক্ষমতার লোভের জন্য, ক্ষমতা দখলের জন্য এই ধর্মকে নিয়ে ব্যবহার বন্ধ হোক।’
মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমি আমাদের মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক বা যাঁরা আছেন মুসল্লি-মাশায়েখ, তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করতে চাই, কার পেছনে দৌড়াইছেন এতদিন? বেগম জিয়াকে নেত্রী বানিয়ে তো দৌড়াইছেন এই সরকারের বিরুদ্ধে। দেখুন আজকে তাঁর চেহারাটা দেখুন।’
‘আজকে যখন আপনাদের পক্ষে সরকার একটা উদ্যোগ নিচ্ছে একটা সুষ্ঠু ধারা আনার জন্য, তখন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বিরোধিতা করে প্রমাণ করেছেন, খালেদা জিয়া কখনো ইসলাম ধর্মের পক্ষের নয়। সে আসলে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে ফায়দা লুটতে চেয়েছে।’
মানুষ হত্যার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আমরা চাই ক্ষমতা দখলের রাজনীতির কারণে পেট্রল দিয়ে নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মারার এই মানসিকতার পরিত্রাণ হোক। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে, তাদেরকে ঘৃণা করুন, তাদেরকে দূরে ঠেলে দিন। যারা দেশকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়, দেশের কল্যাণ করে তাদের পক্ষে আসুন।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ।