সন্দ্বীপে ট্রলারডুবি, আরো ৯ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরো নয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবিতে মোট ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এ ঘটনায় এখনো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করছেন স্বজনরা। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানান, এ পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিকেলে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ইউসুফ ও ওসমানের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে দুপুরে হাফেজুল্লাহ, কক্সবাজারের শামসুজ্জামান, ওষুধ তৈরি প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টার মার্কেটিং কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, মো. মাসুদ ও ইউসুফ আলমের লাশ শনাক্ত করা হয়।
নিহতের স্বজন মাহাফুজ আলম জানান, লাশ উদ্ধারে বিকেল ৪টার পর প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। নিজেদের লাশ নিজেরা খুঁজে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
একই অভিযোগ করেন নিহতের আরেক স্বজন ফরহাদ বিন আমিন। তিনি জানান, ‘স্থানীয় লোকজন সহায়তা না করলে লাশ নেওয়া সম্ভব হতো না। প্রশাসনের কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামশুল আরেফিন জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
সন্দ্বীপে উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার সকালে সন্দ্বীপের সাগর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় তিনজনের মৃতদেহ উদ্বার করা হয়েছে। দুপুরের পর আরো সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সাগর উত্তাল হওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সন্দ্বীপের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে দুই পাশে আটকা পড়েছেন শত শত যাত্রী।
এদিকে নিহত বেশ কয়েকজনের বাড়ি দেশের বিভিন্ন স্থানে। নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরাও এ ঘটনার পর বেকায়দায় পড়েছেন।
গত রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে আসা যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে লাল বোটের মাধ্যমে ঘাটে নামার সময় প্রচণ্ড স্রোতে বোট উল্টে যায়।