ময়মনসিংহের সেই বাড়ি থেকে ৫০ লাখ টাকার চেক উদ্ধার
ময়মনসিংহ শহরের কালীবাড়ি রোডের একটি বাড়ি থেকে ৫০ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য সন্দেহে সাতজনকে ওই বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
বাড়িটি থেকে একটি কম্পিউটার, একটি মোটরসাইকেল, একটি ব্যাংকের চেকবই ও বেশ কিছু বইও জব্দ করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—জেলার ধোবাউড়া উপজেলার আল আমিন (২৫), হালুয়াঘাট উপজেলার শহীদুল ইসলাম (২৮) ও আশিকুর রহমান (২৮), নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শাহ আল রোমান শামীম (২৭), মাসুম আহমেদ (৩০) ও রুমান মিয়া (২৭) এবং জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নাসির উদ্দিন (২৭)। তাঁদের মধ্যে মাসুম তিনটি ভোগ্যপণ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলার। নাসির উদ্দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র।
ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটকদের কাছ থেকে টাকা-পয়সার একটা হিসাব পাওয়া গেছে। তাঁদের কাছে ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের একটি চেক পাওয়া গেছে। টাকা এখান থেকে অন্য কোথাও পাচার করেছে। বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত করে দেখতে একটু সময় লাগবে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে পুলিশ ওই বাড়ির বাসিন্দাদের ওপর নজর রাখছিল। তাঁদের গতিবিধি, আচরণ জেএমবির মতোই। সোমবার বেলা আড়াইটায় সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্যদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় একটি কম্পিউটার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের একটি চেকবই, একটি মোটরসাইকেল, কিছু উগ্রপন্থী বই, কিছু তার ও অন্যান্য সরঞ্জাম।
এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটিতে পুলিশ প্রহরা চলবে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা একতলা ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন। খবর পেয়ে ছুটে যান পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভূইয়া, র্যাব-১৪-এর পরিচালক কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। পরে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পুলিশের অভিযান শেষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের ১৭০ কালীবাড়ি রোডের বাড়িটির মালিকের নাম অ্যাডভোকেট আসিফ আনোয়ার মুরাদ। তাঁর বাবা আনোয়ারুল কাদের ছিলেন জেলা বাকশালের সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের স্বল্পকালীন সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন করলেও পরাজিত হন।