জঙ্গি মুসার লাশ শনাক্ত করতে পারেননি স্বজনরা
জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির নেতা মঈনুল ইসলাম মুসার লাশ শনাক্ত করতে পারেননি তার স্বজনরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত চার জঙ্গির মধ্যে নব্য জেএমবির নেতা মঈনুল ইসলাম মুসা রয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিত হতে স্বজনদের রাজশাহী থেকে সিলেটে নেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা জঙ্গির লাশ মুসার পরিবারকে দেখানো হয়। কিন্তু সুইসাইডাল ভেস্ট (আত্মঘাতী কোমরবন্ধ) বিস্ফোরণের কারণে লাশটি শনাক্ত করতে সমস্যায় পড়ে মুসার পরিবার। পরে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়।
মরদেহ শনাক্তের জন্য এসেছেন মুসার মা সুফিয়া বেগম, সৎভাই খাইরুল ইসলাম ও বোন কামরুন নাহার।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) খায়রুল ফজল জানান, জঙ্গি মুসার পরিবারকে সিলেটে আনা হয়েছে। তাদের সিলেটের শিববাড়িতে উদ্ধার করা জঙ্গির লাশ দেখানো হয়েছে। কিন্তু তারা শনাক্ত করতে পারেনি। তাই তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজশাহীর বাগমারা মডেল থানা পুলিশ বাড়ি থেকে তিনজনকে রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সেখান থেকে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের সিলেট পাঠানো হয়।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা জানান, সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযান টোয়াইলাইটে নিহত নব্য জেএমবির প্রধান মুসার পরিচয় নিশ্চিত হতে তার পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ সদর দপ্তর। এ জন্য তার মা, ভাই ও বোনকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
মুসার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের বজ্রকোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল কালাম আজাদ। মায়ের নাম সুফিয়া বেগম। ১৯৮৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তার জন্ম। তার স্ত্রী তৃষা মনিকে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আশকোনার এক জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই আস্তানায় অভিযানের আগেই মুসা পালিয়ে যায়।