যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণ, রক্তের প্রতিদান : তথ্যমন্ত্রী

“বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। ৭১ সালে যখন যুদ্ধ চলছিল তখন পদ্মা মেঘনা যমুনার পানি মানুষের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। ভারতের অনেক মানুষের রক্ত মিশে আছে আমাদের নদীর পানিতে। এখন আমরা ভারতের সাথে যৌথ পরিচালনায় ছবি নির্মাণ করছি, এটা তাদের রক্তের প্রতিদান। দুই বাংলা এক হয়ে ছবি নির্মাণ করলে সফলতা আসবে। বাংলাদেশি, ভারতীয় ও প্রবাসীসহ ৩৫ কোটি বাঙালির জন্য ছবি বানাতে হবে।’ গত সোমবার ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে, যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এ সময় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আবারও সুদিন ফিরে আসবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে যে ধরনের সমস্যা চলচ্চিত্রে আছে তা নিরসনে তিনি মাথা ঘামানো শুরু করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক নম্বর সমস্যা হচ্ছে সিনেমা হলে ছবি দেখার পরিবেশ নেই। এখন হলে যদি একজন মানুষের ঠিক করে বসারই জায়গা না থাকে, তাহলে মানুষ কীভাবে ছবি দেখবে? এ জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে আমি কিছু টাকার ব্যবস্থা করছি। আশা করি, সিনেমা হলের মালিকদের আমরা খুব তাড়াতাড়ি ডেকে এই টাকা দিব সিনেমা হল ঠিক করার জন্য। ভালো হলে ভালো ছবি চালাতে হলে ভালো ছবি নির্মাণ করতে হবে। সেই লক্ষে আমরা এফডিসিতে সব ধরনের ক্যামেরা, এডিটিং, ডাবিংসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি খুব তাড়াতাড়ি এনে দিচ্ছি। কারণ টেকনিক্যালি আমরা উন্নত না হলে, ভালো ছবি নির্মাণ করা সম্ভব নয়।’
প্রযোজকদের অভিযোগ চলচ্চিত্রে এক নম্বর সমস্যা হচ্ছে পাইরেসি। এই বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। কারণ ডিজিটালি যদি ছবি প্রদর্শন হয়, তাহলে পাইরেসি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। এ ছাড়া আমরা ইউটিউবের সাথে যোগাযোগ করছি, যাতে যে কেউ আমাদের ছবি ইচ্ছা মতো সেখানে প্রকাশ করতে না পারে। আশা করি, এসব সমস্যার সমধান খুব তাড়াতাড়ি করতে পারব।’
বাংলাদেশের কিবরিয়া ফিল্মস এবং ভারতের ডাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড প্রযোজিত ‘রকেট’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র নিয়ে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।