কুষ্টিয়ায় দুই মামলায় স্বামীসহ তিনজনের ফাঁসির রায়
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় কলেজছাত্রীকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ভ্যানচালক এক কিশোরকে হত্যায় দুজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আরেক আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা মোহাম্মদ আলমগীর হাসান কলেজছাত্রী স্নিগ্ধা আক্তার রিনিকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী শিশিরকে ফাঁসির রায় দেন।
অপরদিকে, দুপুরে অপর মামলায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তহিদুল ইসলাম মিরপুরের পোড়াদহের ভ্যানচালক নিশান (১৪) হত্যার দায়ে সন্টু শেখ (২১) ও মাহবুল ইসলামকে (২২) ফাঁসির রায় দেন।
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার সময় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের শিহাব ওরফে শিশির বহলবাড়িয়ায় তাঁর খালাবাড়িতে নিজের স্ত্রী কলেজছাত্রী সিনিগ্ধা আক্তার রিনিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন নিহতের খালাতো ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান আসামি শিশিরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
অপরদিকে, ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই রাতে মিরপুর উপজেলার ভাঙ্গা বটতলা এলাকায় একটি কলাবাগানে পোড়াদহের ইনামুল হকের ছেলে পাখি ভ্যানচালক নিশানকে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তহিদুল ইসলাম দুই আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।