জামিনে বেরোনোর পরই ৪ জনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
নাশকতা মামলায় জামিনে মুক্তিলাভের পর জয়পুরহাটের কারাগারের গেট থেকে চারজনকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত ওই চারজনের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। তবে কাউকে এভাবে তুলে নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের নিহাজ উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম, মিটনা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, দণ্ডপানি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম এবং মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদুল আলম।
এদের মধ্যে শাহ আলমের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে মারপিট করে আসামি ছিনতাই, ভাঙচুরসহ সাতটি নাশকতার মামলা রয়েছে।
জামিনপ্রাপ্ত আসামি নাহিদুল ইসলাম নাহিদের ছোট বোন স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী নাহিদা বেগম আজ বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জামিনে ছাড়া পেয়ে আমার ভাই নাহিদুল ইসলাম জেলা কারাগার থেকে বের হন। এ সময় আত্মীয়-স্বজন তাঁকে নেওয়ার জন্য দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু ভাই নাহিদ ও অন্য তিনজন আসামি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর পরই সেখানে অপেক্ষমাণ ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তাদের সবাইকে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাইনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামিনপ্রাপ্ত আরেক আসামির স্বজন জানান, গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্ত হয়ে চার আসামি জেলগেটে আসামাত্রই কালো রঙের মাইক্রোবাসে তাদের তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ের দিকে চলে যায়।
জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধ ও হরতালের সময় জয়পুরহাটে বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। ওই চারজন গত বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।
জেলা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান জানান, ‘জেলগেট থেকে আসামি তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।’