আশুগঞ্জে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় ও রাত সাড়ে ১০টায় এই সংঘর্ষ হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ও রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের বড়তল্লা গ্রামের মৌলভীবাড়ি ও শাদুল্লা বাহার বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রিজার্ভ পুলিশ ও থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা করে রাত সাড়ে ১২টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বড়তল্লা গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে আশুগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন।
সংঘর্ষে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন মো. হারুন ও মো. কাউসার মিয়া। দুজনকে আটকের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আজ সোমবার সকাল থেকে বড়তল্লা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের ঘটনায় বড়তল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেনেসা কিন্ডারগার্টেন ও বড়তল্লা এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।
বড়তল্লা গ্রামে পুরুষ না থাকায় এই গ্রামের চকবাজার ও রেললাইনের মার্কেটের অর্ধশতাধিক দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
বড়তল্লা গ্রামের শাদুল্লা বাহারের বাড়ির মো. ফারুক জানান, মৌলভীবাড়ির সঙ্গে বড়গ্রামের অলফত আলীর বাড়ি, ড্রাইভারের বাড়ি, পানা উল্লার বাড়ি, শাহ মাহমুদের বাড়িসহ ১১টি বাড়ি এক হয়ে জোট গঠন করেন শাহিন। মো. আলম, কাওসার, হজরত আলী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে তাঁদের ১৬-১৭ জন আহত হয়। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান ফারুক।
এদিকে শাহিন মিয়া বলেন, শাদুল্লা বাহার ও শেখ্ল্লার বাড়ি বড়তল্লা গ্রামে সব সময় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। শাদুল্লা বাহার ও শেখ্ল্লার বাড়ির মোসলেম, কুদ্দুস ও আক্তারের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।