রাজশাহীতে বিপ্লবের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন কাজলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত বিপ্লব হোসেনের (২৮) লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
আজ শনিবার বিকেলে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাদের ফাঁসির দাবিতে নগরীর কাজলা এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এর আগে বিপ্লব হোসেন হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতে তাঁর বড় ভাই আসাদ হোসেন বুলবুল বাদী হয়ে মতিহার থানায় মামলা করেন। মামলার তিন আসামি হলেন নিহত বিপ্লবের শ্বশুর হাবিবুর রহমান (৫০), হাবিবুরের ছেলে রনি আহমেদ (২৮) ও প্রতিবেশী সাইদুর রহমান (৪০)।
মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, আজ দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে বিপ্লবের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় এলাকাবাসী মহাসড়কের ওপর বিক্ষোভ করে। এ সময় মহাসড়কের ওপর লাশ রেখে আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এতে দুই পাশে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর কাজলা কে ডি ক্লাব এলাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় বিপ্লব হোসেনকে। তিনি ওই এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, নিহত বিপ্লব ও একই এলাকার রনি দুই বন্ধু ছিলেন। প্রায় আট বছর আগে বিপ্লব ভালোবেসে রনির ছোট বোন লিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। কিন্তু এই বিয়ে মেনে নেননি রনি। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার বিকেলে বিপ্লবের বাড়ির সামনেই রনি তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিপ্লব। এরপর রনি পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা বিপ্লবকে রামেকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।