পুলিশের মোটরসাইকেল থেকে ‘পালাতে গিয়ে’ একজনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় পুলিশের মোটরসাইকেল থেকে ‘লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে’ ঠাণ্ডু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঠাণ্ডু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঠাণ্ডু নাগরপুর উপজেলার দেওয়ান সলিল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে চৌহালী থানার বোয়ালিয়ার বন্যা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ জানান, চুরির অভিযোগে খাসপুকুরিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বন্যা বাজার থেকে ঠাণ্ডু মিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হচ্ছিল। পুলিশের মোটরসাইকেলে করে থানায় নেওয়ার পথে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান তিনি।
আবু ইউসুফ জানান, আহত ঠাণ্ডু মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু পথে অবস্থার আরো অবনতি হলে তাঁকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক রামপদ দাস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ঠাণ্ডুর মৃত্যু হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্বশুর রায়হান আলী ও শ্যালিকা আছমা বেগম জানান, ঠাণ্ডুর নামে কোনো মামলা ছিল না। তিনি কোনো অপরাধীও ছিলেন না। এর পরও পুলিশ তাঁকে আটক করে নির্যাতন করে। পুলিশের নির্যাতনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন এএসপি আবু ইউসুফ। তিনি জানান, ঠাণ্ডু মিয়ার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কি না, তা জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কলটি রিসিভ করেননি।