রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়ার ত্রাণ চট্টগ্রামে
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ার পাঠানো ত্রাণসামগ্রী চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে পররাষ্ট্রসচিব খোরশেদ আলমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশীয় রাষ্ট্রদূত নূর আশেকিন বিনতে তাইব।
বেলা ১১টায় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন হয়ে ত্রাণবাহী মালয়েশীয় জাহাজ ‘নটিক্যাল আলিয়া’ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে নোঙর ফেলে।
পরে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আনা ত্রাণসামগ্রী বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খোরশেদ আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য আসা ত্রাণসামগ্রী নামানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জাহাজে আসা লোকদের মধ্য থেকে কিছু লোককে আমরা সঙ্গে নিয়ে যাব, যাঁরা আগামীকাল ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।’ ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সহায়তা করছে বলে তিনি জানান।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, ‘এসব ত্রাণসামগ্রী আমরা রোহিঙ্গাদের মধ্যে সঠিকভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করব। এ ব্যাপারে আমাদের কর্মকর্তারা বেশ সচেতন রয়েছেন।’
জানা যায়, এক হাজার ৪৭২ টন ত্রাণবাহী জাহাজটিতে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবকও এসেছেন। তাঁরা সরাসরি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়ে সেবাকাজে অংশ নিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মানবিক কাজে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আরো গাঢ় হবে বলে আশা করেন মালয়েশীয় প্রতিনিধিরা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্ল্যাং থেকে যাত্রা করে ৮ ফেব্রুয়ারি ইয়াঙ্গুন পৌঁছায় জাহাজটি। সেখানে ৫০০ টন ত্রাণসামগ্রী নামানো হলেও আগতদের নামতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে জাহাজটিতে আট লাখ ডলার মূল্যের সমপরিমাণ খাদ্য, ৫০ লাখ ডলারের কাপড় ও তিন লাখ ডলার মূল্যের অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।
তার্কি ডিয়ানেত ভাকফি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মালয়েশিয়া পুত্রা ক্লাব এবং মালয়েশিয়ান কনসালটেটিভ কাউন্সিল ফর ইসলামিক অর্গানাইজেশন এসব ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছে।