চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ২ পক্ষে সংঘর্ষ, নেতা নিহত
চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার এলাকায় সিটি কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে সংগঠনের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো পাঁচজন আহত হয়। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসির আরাফাত সিটি কলেজের স্নাতক (স্নাতক) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদাহা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কলেজ ছাত্রলীগে তাঁর কোনো পদ আছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে কলেজের একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিতেন তিনি।
কলেজ সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিটি কলেজের পাশেই রিয়াজ উদ্দিন বাজার। ওই বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। অন্য পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রলীগের আবদুল আহাদ। আগে আহাদ ও ইয়াসির এক সঙ্গেই ছিলেন। আজ বিকেল ৪টার দিকে রিয়াজ উদ্দিন বাজারের গোলাম রসুল মার্কেটের পাশে সফিনা গলিতে আবদুল আহাদ পক্ষের সঙ্গে ইয়াসির পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আহাদ পক্ষের ছেলেরা ইয়াসিরকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসির আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও সিএমপির গোয়েন্দা সদস্যরা অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা জহিরুল আলম জানান, ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় ইয়াসিরকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই ঘটনায় মো. হারুন নামের আরেকজনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিটি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও নুরুল আজম রনির বক্তব্য জানতে তাঁদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তাঁরা কথা বলেননি।