মেয়র মীরুকে রিমান্ডে চায় পুলিশ
দৈনিক সমকালের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর শ্যামলী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মীরুকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তখন আদালতের বিচারক মোরশেদ আলম জানান, আসামির রিমান্ডের জন্য নিকটবর্তী আদালতে আবেদন করতে হবে। পরে তিনি মেয়র মীরুকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আদালত পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ জানান, বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী আসামিকে পরবর্তী সময়ে শাহজাদপুর আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এরই মধ্যে শাহজাদপুর আদালতে আবেদন করার জন্য রওনা হয়েছেন।
এদিকে আদালতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছেন মেয়র মীরু। তিনি ‘ষড়যন্ত্রের’ শিকার বলেও জানান।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক শিমুল। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়রের শটগান থেকেই গুলিটি করা হয়েছে। এ সময় আরো ১০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত সাংবাদিক শিমুলকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তী সময়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরের দিন শুক্রবার দুপুরে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় এলাকায় সাংবাদিক শিমুল মারা যান।
এর আগে গ্রেপ্তার এ মামলার আট আসামি হলেন—মেয়র মীরুর ছোট ভাই পাবনা জেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টু, ছোট ভাই হাসিবুল হক পিন্টু, পৌর এলাকার ছয়আনি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কে এম নাসির উদ্দিন, বাড়াবিল গ্রামের আলমগীর হোসেন, নলুয়া গ্রামের আশরাফ ভূঁইয়া, নাজমুল খাঁ ও শক্তিপুর গ্রামের জহির শেখ ও নলুয়া গ্রামের সাহেব আলী।
আজ রোববার তাঁদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন রেখেছেন।