আদালতে ভাঙচুর : কারণ দর্শানোর নোটিশ ফেরত আসছে
চট্টগ্রামে আদালত কক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগে নয় আইনজীবীকে বার কাউন্সিল থেকে পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপকদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকায় এসব নোটিশ কেউ গ্রহণ করছেন না। ফলে আইন পেশায় সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এসব নোটিশ পুনরায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনজীবী সমিতি। তবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবী ও বিচারকদের মধ্যে সমম্বয়ের কথা বলেছেন সচেতন নাগরিকরা।
গত ১৮ জানুয়ারি মানবপাচার আইনে আটক এক আইনজীবী দম্পতির জামিন নামঞ্জুর করায় মুখ্য মহানগর হাকিম শাহাদাত হোসেন ভূইয়ার এজলাস ভাঙচুর করেন একদল আইনজীবী।
পরদিন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ঘটনা তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলামের তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন।
মিটিংয়ে ভাঙচূরের ঘটনায় জড়িত নয় আইনজীবীকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বার কাউন্সিলকে চিঠি দেন। ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমিতির কার্যালয়ে এ নিয়ে জরুরি সভা ডেকে বার কাউন্সিলের পাঠানো নোটিশের জবাব দেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।
বার ও বেঞ্চের মধ্যে বিরোধ জড়িয়ে রেখে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সভাপতি আকতার কবির চৌধুরী।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, ৯ আইনজীবী নামে পৃথকভাবে পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশ সমিতির পক্ষ থেকে প্রাপকদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকায় তা কেউ গ্রহণ করেনি। এ কারণে বার কাউন্সিলে ফেরত পাঠানোর সিন্ধান্ত হয়েছে।