উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুল হৃদয়কে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে আরেকজন আহত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর উত্তর আলেকান্দার সরকারি পলিটেকনিক কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত রাফিকে নগরীর শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও আহতের দাবি, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সাইদুল হৃদয়কে খুন করা হয়। সে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা শাহীন গাজীর ছেলে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া জেসমিন জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। তাই জিলা স্কুলের বর্ধিত ভবনে তাঁদের স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম চলছিল। ক্লাসে নাশতার বিরতিতে বাইরে বের হয় হৃদয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁরা জানতে পারেন, পলিটেকনিকের কিছু ছাত্র হৃদয়সহ আরো দুজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাফি জানায়, ‘মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছিল হৃদয়। তাই তাকে কুপিয়ে হত্যা করে উত্ত্যক্তকারীরা। এ ঘটনায় আমিও আহত হই।’ তবে হামলাকারীদের নাম জানাতে পারেনি রাফি।

বরিশাল মহানগর পুলিশের উপকমিশনার গোলাম রউফ খান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।’

উপকমিশনার আরো বলেন, ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। আহত ছাত্র রাফি এমন তথ্যই দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে আহত ছাত্রের খোঁজ নিয়েছেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক গাজী সাইফুজ্জামান।