ভারতে ধর্ষণের শিকার নার্গিসের লাশ উত্তোলন

ভারতে ধর্ষণের পর খুন হওয়া খুলনার নার্গিস বেগমের (৩২) লাশ প্রায় আড়াই মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুনের উপস্থিতে নগরের বসুপাড়া কবরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়।
লাশ তোলার পর কবরস্থানেই নার্গিস বেগমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন ডা. দীপ্তি রানী। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।urgentPhoto
নিহত নার্গিস বেগমের মামী রাহেলা বেগম ও বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এলিনা খানের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২৪ মে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপ্রতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ নার্গিস বেগমের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে নার্গিস বেগমের লাশ হস্তান্তরের সময় দেওয়া যাবতীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করতে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৯ মার্চ নার্গিস, তাঁর অন্ধ মা ও মেয়েকে (৯) নিয়ে পর্যটক ভিসায় ভারতে যান। হাওড়া থেকে ট্রেনে করে দিল্লি যাওয়ার পথে কানপুরে নার্গিসকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। ১৩ মার্চ রাত ২টায় ফিরোজাবাদ জেলার ভদ্রাং স্ট্রেশনের একটি ট্রাকের ওপর নার্গিসের লাশ পাওয়া যায়। এই সময় তাঁর কাছে থাকা পাসপোর্ট দেখে দিল্লি পুলিশ ১৬ মার্চ বিষয়টি বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানায়। পরে দূতাবাস থেকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাকে জানানো হয় এবং গত ২০ এপ্রিল নার্গিস বেগমের লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনামা গত রোববার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন, সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মাহবুবুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবার টিপু, নিহতের স্বামী আবুল কালাম, নিহতের মামী ও মামলার বাদী রাহেলা বেগম বসুপাড়া কবরস্থানে যান। তাঁদের উপস্থিতে ডোম নাসির কবর খুঁড়ে নার্গিস বেগমের লাশ ওপরে নিয়ে আসেন।