মাতৃভাষার বই পেল মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যার শিশুরা
বান্দরবানে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চারটি সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
মারমা চার হাজার ২৩৫ জন, চাকমা ২০৮, ত্রিপুরা ৮৬৫ ও তঞ্চঙ্গ্যা ৭৩ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। জেলার সাত উপজেলার প্রতিটি শিশুকে নিজের মাতৃভাষায় প্রকাশিত দুটি করে মোট ১০ হাজার ৭৬২টি পাঠ্যবই দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা ও গারো—পাঁচটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় সর্বমোট ২৫ হাজার পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আবছার, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, সিইয়ং ম্রো, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেছেন, মাতৃভাষায় শেখার অধিকার সবার আছে। মাতৃভাষায় লেখাপড়া শেখানোর দাবি পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের। পাহাড় সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা ও গারো—পাঁচটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যবই ছাপিয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের মধ্যে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের স্বপ্নপূরণের দিন। পর্যায়ক্রমে সরকার অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায়ও পাঠ্যবই ছাপানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষিত হলে চলবে না, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজের প্রয়োজনেই সবাইকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া দরকার। পার্বত্যবাসী শিক্ষাদীক্ষা সবক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে আন্তরিক সরকারও। কিন্তু পার্বত্যবাসীকে আন্তরিকভাবে সরকারকে সহযোীগতা করতে হবে।