খোলা জায়গায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে ১২ হাজার টন সার
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ১২ হাজার টন ইউরিয়া সার।
এই সার সৌদি আরব থেকে আমদানি করে বন্দরের বাফার গুদামে রাখা হয়েছিল। জমাট বেঁধে যাওয়া সারগুলো বস্তা খুলে শ্রমিকদের দিয়ে ভাঙানো হচ্ছে। সেখানে শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে।
গুদাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ইরি-বোরো মৌসুমে সরকার সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করে। এর মধ্যে মাদারীপুর-গোপালগঞ্জের আওতাভুক্ত টেকেরহাট বাফার গুদামে ৪৪ হাজার টন ইউরিয়া সার বিক্রির জন্য বরাদ্দ করা হয়।
কিন্তু ওই মৌসুমে ৩২ হাজার টন সার বিক্রি হয়। বিক্রি না হওয়া বাকি ১২ হাজার টন ইউরিয়া সার বাফার গুদামে প্রায় এক বছর খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় বস্তার চাপে সারগুলো পাথরের মতো জমাট বেঁধে গেছে। এতে সারের গুণগত মান কমে গেছে।
চলতি মৌসুমে জমাট বাঁধা সারগুলো বিক্রির জন্য গুদামের ভেতরে শ্রমিক দিয়ে ভাঙা হচ্ছে। এতে সরকারকে আরো লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে টেকেরহাট বাফার গুদামের উপব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইউরিয়া সারগুলো পড়ে থাকায় জমাট বেঁধে গেছে। তাই ডিলারদের কাছে সারগুলো সহজে বিক্রি করার জন্যই মূলত বস্তা খুলে শ্রমিকদের দিয়ে ভাঙানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর বরাদ্দকৃত সার বিক্রি করতে না পারার কারণে চলতি মৌসুমে সার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে। চলতি বছর ৪০ হাজার ৬৩০ টন সার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় তিন হাজার ৩৭০ টন কম।’