কিশোরগঞ্জ বিএনপির সভাপতিসহ ৪২ জন কারাগারে
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমসহ ৪২ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দুটি মামলায় আজ বুধবার দুপুরে ওই নেতাকর্মীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে জেলার দুই নম্বর বিচারিক আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আবদুস সালাম খান এ আদেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল মিল্লাত, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শাহ আলম এবং পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি আজহার উদ্দিন লিটন।
এর আগে মামলা দুটিতে জামিন না পাওয়ায় বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কোর্ট উপপরিদর্শক সুনীল চন্দ্র সরকার। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুছ, মো. জালাল উদ্দিন, মো. রহম আলী, মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল, শরীফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম রতন, বদরুল মোমেন মিঠু, আসাদ রেজা ও শাহ আলমসহ বিএনপি সমর্থিত আরো কয়েকজন আইনজীবী।
গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি শরীফুল আলমসহ অন্য নেতাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সময় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের দাড়িয়াকন্দি ও আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাশেম ও এসআই এহসানুল হক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করেন।
মামলায় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগে শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এদিকে, আজ সকালে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম আদালতে গেলে নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে কয়েকজন আইনজীবী মিছিল শুরু করেন। এ সময় কমিটির পক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের ধাওয়া দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর একপর্যায়ে কমিটির বিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী লাঞ্ছিত হন।
এরপর দুপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের বিরুদ্ধে মিছিল ও অশালীন স্লোগান দেওয়াকে সংগঠনবিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজন আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই সাত আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট মো. হাফিজ উদ্দিন, এ এম এম লিটন হিলালী, আবুল কাশেম অনু, হারিছ উদ্দন ভূঁইয়া দুদু, নজরুল ইসলাম, কবীর হোসেন সুমন, শওকত কবীর খোকন ও মো. দেলোয়ার হোসেন। তাঁদের আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নোটিশের উত্তর দিতে বলা হয়েছে।