ভৈরবের ওসি, এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
ক্রসফায়ারের হুমকি ও মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে করা মামলা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আতাউল হক এ নির্দেশ দেন। একজন বিচারিক হাকিম কর্তৃক বিষয়টি তদন্তের জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে আজ দুপুরে ভৈরবের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলম বিজন নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ ২ নম্বর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার ও উপপরিদর্শক (এসআই) এম নইমুল ইসলাম মোস্তাককে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট ভৈরব থানার ওসি বদরুল ইসলাম তালুকদার মামলার বাদী আশরাফুল আলম বিজনকে আটক করে থানায় এনে একটি হত্যা মামলার স্বীকারোক্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু বিজন তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে ওসি বদরুল ও এসআই মোস্তাক ওই ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোসহ ক্রসফায়ারের হুমকি দেন ওসি। চাঁদা না পেয়ে আবারও বিজনের ওপর নির্যাতন চালান তাঁরা। পরে একটি হত্যা মামলার আসামি করে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয় বলে আর্জিতে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী। ওই মামলায় তাঁকে চার মাস কারাভোগ করতে হয়েছে।
ওসির করা মামলা মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম বিজন বলেন, ওসি যে হত্যা মামলায় তাঁকে আসামি করেছেন সেই ঘটনা ঘটেছে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তিনি ওই বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্য একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। সেটিও মিথ্যা মামলা বলে দাবি করেন তিনি।
বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট রহম আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।