৬ চিকিৎসক বরখাস্তের আদেশ বাতিলের দাবি
কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বরখাস্তের প্রতিবাদ এবং বরখাস্তের আদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গতকাল সোমবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়তা কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক এক আদেশে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছয় চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি যে, এদের মধ্যে দুজন চিকিৎসক রোস্টার ডিউটি শেষে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তা ছাড়া এ ছয়জন চিকিৎসকের কাউকে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা মনে করি পৃথিবীর অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন সম্মুখ সারিতে থেকে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সাহসিকতার সঙ্গে কোভিড-১৯ প্যানডেমিক মোকাবিলা করছেন, তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত। এ আদেশ এ দেশের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক সমাজ এবং সব পেশাজীবীকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা ঘটনাটির যথোপযুক্ত তদন্ত এবং এ ছয়জন চিকিৎসকের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়তা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে নিয়ম আছে, কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে, তার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে তা করা হয়নি। তাই আমরা চাই, ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হোক।’