হাইকোর্ট মোড়ে ছিনতাই, ঢাবির দুই ছাত্রলীগকর্মী কারাগারে
হাইকোর্ট মোড়ে ওয়াসার বালির ট্রাকের শ্রমিকদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ভোরে হাইকোর্ট মোড়ের পানির পাম্পের সামনে থেকে তাদের আটকের পর শাহবাগ থানা দায়ের করা ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই ছাত্রলীগকর্মী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আল আমিন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই বর্ষের জুবায়ের আহমেদ শান্ত। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র এবং হল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
শান্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আর আল আমিন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্রের অনুসারী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ট্রাকের সুপার ভাইজার মো. সোহেল রানা।
ট্রাকের চালক মো. কায়সার গণমাধ্যমকে বলেন, আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় ট্রাকে করে ঢাকা ওয়াসার বালু নিয়ে দয়াগঞ্জ থেকে তিনি শাহবাগ আসছিলেন। হাইকোর্ট মোড়ে আসার পর গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গেলে রাস্তার একপাশে পার্কিং করে রাখেন।
‘এ সময় দুজন লোক এসে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায় এবং ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা নেই বলতেই আমাকে চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করে। পরে আমার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে গাড়ির সুপার ভাইজারকে আসতে বলে’, যোগ করেন চালক কায়সার।
ট্রাকের সুপার ভাইজার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘বালুর গাড়ি আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক আমার রকেট হিসাব নম্বর থেকে এক হাজার ৯৫০ টাকা নিয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ ডিলিট করে দেয়। পরে টহলরত পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।