স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তফসিল দুটি কারণে পিছিয়েছে। ঈদুল আজহা এবং এইচএসসি পরীক্ষার কারণে পেছানো হয়েছে স্থানীয় সরকারের সাতটি পৌরসভাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের তফসিল। আজ রোববার (১৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এসব কথা বলেন। 

ইসি সচিব বলেন, ‘মধ্য জুনের মধ্যে কমিশন বেশকিছু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তফসিল দেওয়া হবে। তবে, একেকটির নির্বাচন একেক সময় হবে। এর মধ্যে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন রয়েছে। পৌরসভা আছে সাতটি, ইউপি অনেকগুলো; যে কারণে তফসিল ঘোষণার আগে বলা যাবে না কতগুলো। তবে, পঞ্চাশোর্ধ্ব হবে।’

সংসদীয় আসনের শুনানি আজ (রোববার) শেষ হলো উল্লেখ করে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘কমিশন আবার বসে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। আর জুন মাসটা আমাদের হাতে আছে। জুনের মধ্যে এটা আমরা শেষ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের আসন সংখ্যা ৩০০টি। এর বেশি আসন বানানোর সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। এটা যখন চূড়ান্ত হবে তখন বলা যাবে বাড়বে না কমবে।

নির্বাচন কমিশনের আপ্যায়ন ভাতার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে জাহাংগীর বলেন, ‘তারা সংসদ নির্বাচনসহ কোথায় কী আছে, তা দেখে প্রস্তাব দেবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।’

গাজীপুর সিটি ভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সব সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আমরা তাকে সহায়তা দেব। ইভিএম ও জনবলের সহায়তা আমরা দেব। বাকি কাজটা রিটার্নিং কর্মকর্তা করবেন।’

সকল সিটি ভোট আয়োজনের জন্য ইসি প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা।