স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকারোক্তি
ঢাকার দক্ষিণখানে স্ত্রী ও দুই সন্তান খুনের ঘটনায় আসামি রাকিব উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনূর ইসলামের আদালতে রাকিব উদ্দিন এ স্বীকারোক্তি দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা যায়, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান আসামি রাকিব উদ্দিনকে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণখানের ৮৩৮ নম্বর ‘প্রেম বাগান’ নামক ভবনের চতুর্থ তলার বাসা থেকে মুন্নী বেগম (৩৭) এবং তাঁর দুই সন্তান ফারহান উদ্দিন (১২) ও তিন বছর বয়সী লাইভা ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন সকাল থেকেই ওই বাড়ির প্রতিবেশীরা বাতাসে ভেসে আসা পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো মৃত পশু-পাখি থেকে গন্ধ আসছে। কিন্তু আশপাশে খুঁজেও সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি। তাই সন্দেহ বাড়তে থাকে।
এ ছাড়া নিহত মুন্নীর ভাই সোহেল কয়েকদিন ধরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এতে সবার সন্দেহের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ওই দিন সকালে মুন্নীর ভাই তাদের খুঁজতে আসেন দক্ষিণখানের ওই বাসায়। এসে ঘরের দরজা বন্ধ পান।
পরে বাড়ির মালিকের সঙ্গে পরামর্শ করে চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা দেখতে পান মুন্নী বেগম ও তাঁর মেয়ে লাইভার মরদেহ একটি রুমের বিছানার ওপর পড়ে আছে। আর অন্য একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে আছে ছেলে ফারহান উদ্দিনের মরদেহ। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে দক্ষিণখান থানা পুলিশ এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত মুন্নীর ভাই সোহেল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।