রংপুরের পীরগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নিজের গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন রশিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মোংলাকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বড় মেয়ে জিম (১১) ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রশিদুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও সাত বছর বয়সী ছোট মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী ‍সূত্রে জানা গেছে, রশিদুল ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। গতকাল সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি থেকে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন রশিদুল।

এতে বড় মেয়ে জিমের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছোট মেয়ে। পরে রশিদুল ইসলাম বিষপান করে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে দ্রুত উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরেশ চন্দ্র বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রশিদুল ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রশিদুল তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্তমানে আহতদের রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।