সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি, ১৫ জনের লাশ উদ্ধার

অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত উদ্ধার হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন। এখনো অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে নৌবাহিনীর জাহাজ দুর্জয়, করতোয়া ও কোস্ট গার্ডের জাহাজ মনসুর আলী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, ওই ট্রলারে ১২০ থেকে ১২৫ জনের মতো নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল।

স্থানীয় ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, আজ ভোররাতে রোহিঙ্গা বহনকারী একটি ট্রলার অবৈধভাবে বঙ্গোপসাগর দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ডুবে যায়। কয়েকজন রোহিঙ্গা সাঁতরে তীরে ওঠার পর বিষয়টি জানা যায়। পরে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালায়। এখন পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরো অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছে। এখনো চলছে উদ্ধার তৎপরতা।
কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাঈমুল হক জানান, অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে একটি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে তিন নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ সময় ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সেন্টমার্টিনে নিয়ে আসা হচ্ছে।
নাঈমুল হক জানান, ট্রলারে শতাধিক যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রলারটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় কোস্ট গার্ড ছাড়াও নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অংশ নিয়েছে। ট্রলার উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন ঘাটে আনা হবে। যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।