সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা যেমন আছে
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে তিন দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ায় আটকা পড়েছে অনেক পর্যটক। এ কারণে অনেকেই আবহাওয়ার প্রতিকূলতা দেখে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বৃষ্টি কিংবা প্রতিকূল আবহাওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও হোটেল থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই। তবে হোটেলে নিরাপদেই রয়েছে বলে জানিয়েছে কয়েকজন পর্যটক।
গত ২০ ও ২১ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারে ফিরে আসতে পারেনি পাঁচ শতাধিক পর্যটক। গত ২১ অক্টোবর দুপুরে আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মাইকিং করা হয় যাতে ফিরতি জাহাজে করে পর্যটকরা কক্সবাজারে ফিরে যায়। কিন্তু কেউ কেউ ফিরলেও অনেকেই মাইকিং উপেক্ষা করে স্বেচ্ছায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে রয়ে যায়। ২২ অক্টোবর থেকে কক্সবাজার ও টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জাহাজ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই দিন থেকে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে আটকা পড়ে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান হাবিব খান বলেন, ‘কক্সবাজারে ফিরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করার পরও সেন্টমার্টিন দ্বীপে পাঁচ শতাধিক পর্যটক থেকে যায়। তাদের সৈকতে গোসল না করতে এবং অযথা ঘোরাঘুরি না করতে বারণ করা হয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া পাঁচ শতাধিক আটকেপড়া পর্যটক নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা কক্সবাজারে ফিরে আসতে পারবে।’
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এখন সাগরে কোনো সতর্ক সংকেত নেই। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।’
পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি কর্ণফুলীর কক্সবাজার অফিসের কর্মকর্তা বাহাদুর হুসেইন বলেছেন, ‘আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আগামীকাল রোববার সকালে কর্ণফুলী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে এবং আটকেপড়া পর্যটকদের নিয়ে আসবে।’