আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের অধীনস্থ এভিয়েশন স্কুলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এভিয়েশন বেসিক কোর্স-১২ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আজ সোমবার তেজগাঁওস্থ আর্মি এভিয়েশন গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবীন সেনা বৈমানিকদের সনদপত্র প্রদান ও তাদের ফ্লাইং ব্রেভেট পড়িয়ে দেন।

এ সময় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, নৌবাহিনীর সহকারী নৌ-প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার এর অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. জাহিদুর রহমান এবং গ্রুপ কমান্ডার, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ মেজর জেনারেল আইকেএম মোস্তাহসেনুল বাকীসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘গতি ও নিপুণতা’এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র উড্ডয়ন প্রতিষ্ঠান আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তরুণ সামরিক ও পুলিশ অফিসারদের উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেনা, নৌ ও পুলিশ বাহিনীর সর্বমোট ১০ জন তরুণ গত ৪ জুলাই হতে এভিয়েশন বেসিক কোর্স-১২ এর প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান সেনা, নৌ ও পুলিশ বাহিনীর অফিসারসহ সর্বমোট ১৩৪ জন অফিসারকে বৈমানিক হিসেবে প্রশিক্ষিত করেছে। তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণে প্রত্যেক শিক্ষার্থী যথাযথভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সেনাবাহিনীর ৫ জন প্রশিক্ষণার্থীদের সেসনা-১৫২ অ্যারোবেট বিমানে ৭০ ঘণ্টা এবং নৌ ও পুলিশ প্রশিক্ষণার্থীদের ডায়মন্ড ডিএ-৪০এনজি বিমানের মাধ্যমে ৭০ ঘণ্টা উড্ডয়ন শেষে সামরিক মৌলিক বিমান উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

এবারের কোর্সের সেসনা-১৫২ অ্যারোবেট বিমানের সকল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বৈমানিক নির্বাচিত হয়েছেন ক্যাপ্টেন মো. আবু তালহা আরেফিন, এএসসি ও ডায়মন্ড ডিএ-৪০এনজি বিমানের শ্রেষ্ঠ বৈমানিক নির্বাচিত হয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সারোয়ার হোসাইন।

উল্লেখ্য, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ঢাকার বাইরে রাজশাহী ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর অস্থায়ী ক্যাম্প হতে এই উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়।