সাহেদের প্রতারণা খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে : র্যাব
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ প্রতারণাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, যা একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও প্রতারণা করতে ছাড়েননি বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘সাহেদ একজন বড় মাপের প্রতারক। তিনি প্রতারণাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, যা সাধারণ মানুষের ভাবনার অতীত। মানুষের সঙ্গে নানা ধরনের প্রতারণা করতে করতে এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে, যা একটি অনন্য খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মানুষ তাকে সারা জীবন ঘৃণার চোখে দেখবে।’
আশিক বিল্লাহ আরো বলেন, ‘রিজেন্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের জাল সনদ দেওয়া হতো। এমন অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। টাকা নষ্ট হলো। যে সনদগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে, তা জাল।’
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘শুধু এক সাহেদের কারণে অনেক শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিজীবন ও শিক্ষা জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা যেসব অভিযোগ পেয়েছি সব সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছি। এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি আমরা।’
সাংবাদিক, রাজনীতিক, আমলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সাহেদের ছবি থাকার বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কারো সঙ্গে কারো ছবি থাকা মানে এই নয় যে, তিনি তার পৃষ্ঠপোষক। যে কারো সঙ্গে বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মানুষ ছবি তুলতে চাইবেই। এটা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তার মানে এই নয় যে, ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সাহেদকে একজন প্রতারক জেনেও তার সঙ্গে ছবি তুলেছেন।’
এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট করে সবাইকে জানাতে চাই, সাহেদের পাসপোর্ট আমাদের কাছে। আমরা জব্দ করেছি। সে যদি দেশ ত্যাগ করতে চায়, তাহলে সেটা তার জন্য অবৈধ পন্থা হবে। সে যাতে কোনোভাবেই দেশত্যাগ না করতে পারে, সেজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। সাহেদকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’