সাতক্ষীরায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী কারাগারে
সাতক্ষীরায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আল আমিন আল রাজী জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন।
জেলহাজতে পাঠানো বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন কালিগঞ্জের শেখ এবাদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মো. জালালউদ্দিন গাজী, হাফিজুর রহমান সাঁফুই ওরফে হুকুম সাঁফুই, রফিকুল ইসলাম বাবু, ডা. রফিকুল ইসলাম বাবু, শেখ আলমগীর হোসেন, কাজী মোফাজ্জেল কবীর ওরফে পলাশ, আক্তারুজ্জামান বাপ্পি, সৈয়দ হাসানাত আলী, মো. আব্দুস সবুর, কাজী হুমায়ুন কবীর ডাবলু, সৈয়দ হেমায়েত আলী, মো. রেদওয়ান ফেরদৌস রনি, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মো. বদিউজ্জামান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠককালে পুলিশ বিএনপিনেতা দক্ষিণ পলাশপোলের শেখ তারিকুল হাসান, কালিগঞ্জের বাজারগ্রাম কাশেমপুরের শেখ মো. নুরুজ্জামান, বাজারগ্রামের হাফিজুর রহমান ও ফতেপুরের শাহীনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার ঘোষ বাদী হয়ে গ্রেপ্তার করা চারজনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৯০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেন। এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা গত ৪ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি খায়রুল আলমের আদালতে অগ্রিম জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী তারা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামি শেখ এবাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে তারা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দক্ষিণ শ্রীপুর বাজার এলাকা থেকে শেখ তারিকুল হাসানসহ চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে এবং গ্রেপ্তার করা চারজনসহ ২৮ জনের নামে পুলিশ নাশকতার মামলা দেয়। গ্রেপ্তার হওয়া চারজন গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিনাদেশ পান।
আসামিপক্ষে মামলাটির শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ।