সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁকে ও বাধাদানকারী বেশ কয়েকজন নারী পুরুষকে পুলিশ নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে শ্যামনগরের কৈখালি ইউনিয়নের ভেটখালি ব্রিজের কাছে। এ নিয়ে থানার সামনেও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
তবে পুলিশ মারপিটের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চেয়ারম্যানসহ অন্যদের বেধড়ক মারপিট ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। তারা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর কামাল ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মেহেদির বিচার দাবি করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, আজ সকালে শ্যামনগর থানার এসআই নুর কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ভেটখালি এলাকায় পৌঁছায়। তাঁরা কিছুক্ষণ পর দুবারের নির্দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। এ সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে এসআই নুর কামাল ও এএসআই মেহেদিসহ পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন বোসখালি গ্রামের আঞ্জুয়ারা, কুলসুম বেগম, আশরাফ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুস সাত্তার, জরিনা খাতুন।
পুলিশ নারীদের বেধড়ক মারপিট করে জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে চেয়ারম্যান আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় মহিলারা প্রতিবাদী বিক্ষোভ করেন এবং স্লোগান দেন। তারা চেয়ারম্যানের মুক্তি ও মারপিটের জন্য দায়ী এসআই নুর কামালের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই নুর কামাল মারপিট করা হয়নি দাবি করে বলেন, চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় আমি, এসআই মেহেদি, কনস্টেবল মেহেদি ও রিপন আহত হয়েছেন।
এদিকে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তারের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি মামলার সাজা এবং চারটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। এসব অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুর রহিমকে মারপিট করা হয়নি। এমনকি জনসাধারণের ওপরও পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি।
ছয়টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং চারটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আব্দুর রহিম সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে কীভাবে অংশগ্রহণ করলেন এমন প্রশ্নের শহিদুল ইসলাম সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তিনি বলেন, এসব উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপার ও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। তবে আমাদের কাছে এসব মামলা ও সাজার কাগজপত্র রয়েছে।
চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, সব মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
পরে এলাকাবাসী শ্যামনগর থানার সামনে এসেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবি এবং মারপিটের ঘটনার জোর প্রতিবাদ জানায়।