আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এমন আইন করতে চায়, যেটা সমাজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বাস্তবসম্মত নয়- এমন আইন সমাজের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে তা কেবল আইনের বইতেই থাকবে। বাস্তবে কোনো কাজে আসবে না। যেটা সরকার চায় না।

রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশু অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের আইন পর্যালোচনা বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। তাই সকল শিশুকে সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো পথশিশু (টোকাই) ও বিত্তবানের শিশুর মধ্যে পার্থক্য থাকা উচিত নয়। সরকার শিশুদের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। দেশে বৈষম্য বিরোধী নামে একটি আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন, শিশুদের উন্নয়নের জন্য আইনে যেসব পরিবর্তন করা দরকার, তা অবশ্যই করা হবে। শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। এর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আজকের বৈশ্বিক বাস্তবতায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় ছিল না।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি) টনি মাইকেল গমেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বক্তব্য দেন।