‘সব রোগের বিশেষজ্ঞ’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আবুল কালাম আজাদ ওরফে এ.কে আজাদ নামের এক পল্লী চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা জানান, আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের একটি টিমকে সঙ্গে তিনি শহরের আইস কোম্পানি বেকারি, ফুলকলি, রিয়াজ ফার্মেসি ও মোস্তফা ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে পঁচা ডিম থাকার দায়ে বঙ্গবন্ধু সরণির আইস কো.মোড়ের আইস কোম্পানি বেকারিকে ১০ হাজার টাকা, মাইকপট্টির ফুলকলি বেকারিতে অনুমোদনহীন পণ্য থাকার দায়ে ২০ হাজার টাকা, সরকারি কেবি পাইলট হাইস্কুলের সামনের রিয়াজ ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা এবং পৌরসভার সামনের মোস্তফা ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে মোস্তফা ফার্মেসিতে বসে এলএমএফ (পল্লী চিকিৎসক) ট্রেনিংপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে এ.কে আজাদ নামের এক ব্যক্তি ফার্মেসির দেয়ালে চর্ম, যৌন, এলার্জি, মা ও শিশুসহ সব রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করে রোগী ভিজিট করার অভিযোগে আটক করা হয়। এ সময় তিনি দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে দুই মাসের জেল প্রদান করেন। পরে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অব্যাহতি নেন। এই রকম অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে।
অভিযানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো: রুহুল আমিন, পৌর স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাছিমা বেগম, ভৈরব ঔষধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি চন্দন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আক্রাম হোসেন চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারি পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক জানান, অভিযানে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংশোধনের জন্য এক মাস করে সময় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একই অপরাধের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে হিমাদ্রী খীসা।