সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উপস্থাপন খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের নির্দেশে কমিটি
সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সংশ্লিষ্ট রিট মামলার আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুবীর নন্দী দাস জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে গত ৬ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় ওই কমিটি গঠন করে। সাত সদস্যের ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন এবং বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপমহাপরিচালক আশফাকুর রহমান খান। এ ছাড়া সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালককে।
এক মাসের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
এর আগে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে থাকা ভাষণের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত সব অডিও-ভিডিও পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
একই সঙ্গে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর সঠিক ভাষণ অন্তর্ভুক্তিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১০ মার্চ বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে গত ৫ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এই রিট করেন। রাজবাড়ীর রায়নগর গ্রামের কাশেদ আলীর পক্ষে তিনি এই রিট করা হয়।
রিট আবেদনে সংবিধানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভুলটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। পাশাপাশি সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি বাংলা ও ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্তি চাওয়া হয়।
রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।