শেরপুরে আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা, কারাগারে ১৫
শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় গ্রেপ্তার হওয়া দলটির ১৫ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকার দুপুরে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। সংঘর্ষে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীর নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ ও গুলি ছুড়ে। ভিডিওতে যা আছে, তা দেখলেই বোঝা যায়—কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের উসকানিতে ঘটনাটি ঘটেছে।’
রুবেল বলেন, মিছিল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশের সদস্যরা আটক করা শুরু করলে আপত্তি জানায় বিএনপির নেতারা।
অপরপক্ষে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, সংঘর্ষে পুলিশে পাঁচ-ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়েই গুলি ছুড়ে। গতকাল সংঘর্ষের সময় গ্রেপ্তার হওয়া দলটির ১৫ নেতাকর্মীকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।