শেখ রেহানার জন্মদিনে ওবায়দুল কাদেরের শুভেচ্ছা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৭তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি শেখ রেহানাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ড খুনি-ঘাতকচক্রের হাতে পরিবারের সকল সদস্যকে হারানোর পর বেদনার মহাসমুদ্র বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দুই বোন ছিলেন একে অপরের শেষ অবলম্বন। দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে দুই বোন কাটিয়েছেন নির্বাসিত ও দুর্বিষহ প্রবাস জীবন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানব ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রথম প্রতিবাদ গড়ে তোলেন শেখ রেহানা। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি তিনি। কিন্তু প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামসহ প্রতিটি সংকটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের অন্যান্য রাজনীতিকদের অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের যেমন ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পেছনেও শেখ রেহানার অনুরূপ ভূমিকা রয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিরবে-নিভৃতে ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রচারবিমুখ জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। এমনকি, তিনি তাঁর নামে বরাদ্দকৃত ধানমণ্ডির বাড়িটিও দেশের প্রয়োজনে দান করে দিয়েছেন।’
বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, ‘শেখ রেহানা মনে-প্রাণে একজন বাঙালি এবং বাঙালির প্রয়োজনে উদারনৈতিক মানবিক মনোভাবাপন্ন নির্মোহ এক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বাঙালির প্রতি তাঁর অসীম মমতা ও ভালোবাসা। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থরক্ষায় সর্বদা তিনি আপসহীন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ধৈর্য্য, সততা, সাহস, দৃঢ়তা, অধ্যাবসায়, নিষ্ঠা, উদারতা ও সংযমের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এক মানবিক চরিত্রের নাম শেখ রেহানা। জন্মদিনে তাঁকে আবারও শুভেচ্ছাসিক্ত অভিনন্দন।’