লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদ, অবশেষে র্যাবের জালে ধরা
রিয়েল ফোর্স সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এই নামে অনলাইনে তৈরি করা হতো বিজ্ঞাপনফাঁদ। সেখানে আবেদন থেকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য চাকরিপ্রত্যাশীদের ডাকা হতো ঢাকায়। তারপর চাকরির জন্য জনপ্রতি আদায় করা হতো চার হাজার করে টাকা।
এখানেই শেষ নয়, যেসব নারী প্রার্থী চাকরির জন্য আসতেন, তাঁদের চাকরি দিয়ে নানাভাবে যৌন হয়রানি ও হেনস্তা করা হতো।
র্যাবের দাবি, এসব অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক আমির হামজা ওরফে সিরাজী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বনরুপা আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডে এ-ব্লকের ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় আমির হামজার কাছ থেকে চারটি ওয়াকিটকি সেট, তিনটি ওয়াকিটকি চার্জার, ১৬টি বিভিন্ন কালারের সিকিউরিটি গার্ড ইউনিফর্মের ব্যবহার্য প্যান্ট, রিয়েল ফোর্স লেখা দুটি ক্যাপ, একটি মেটাল ডিটেকটর, একটি সিগন্যাল লাইট, ছয়টি বেল্ট, দুটি মোবাইল, তিন জোড়া বুট এবং নগদ চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে আসছিল। আকর্ষণীয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই চক্রটি দীর্ঘদিন বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে এবং সে অনুযায়ী মাসিক বিল কালেকশন করে। পরে ২০২০ সালে কোম্পানিটি লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় এবং এসিআই লজিস্টিকের স্বপ্ন শোরুমে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের একটি বড় চুক্তির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। তারা মূলত সমাজের বেকার, অল্পশিক্ষিত, দরিদ্র পরিবারগুলোকে চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতারক আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে।