লঞ্চে যাত্রী চলাচলে নির্দেশনা মানতে হবে : নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোনো ধরনের কার্যক্রম না থাকলে কেউ যেন স্থানান্তর না হয়, কাজ না থাকলে ঢাকামুখী হওয়ার দরকার নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের-আমাদের সবার করোনা ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকা সদরঘাটে জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়েছে, শুধু ঢাকা সদরঘাট নয়, অন্যান্য বন্দরেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী চলাচলে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। নির্দেশনা মানতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। করোনা আমাদের ভয় নয়; সচেতনতার মাধ্যমেই আমাদের করোনা জয় করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার ঢাকা সদরঘাটে অভ্যন্তরীণ নৌযান/লঞ্চ চলাচল ও যাত্রী সুরক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী সেখানে জীবাণুনাশক টানেল উদ্বোধন করেন এবং লঞ্চের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য মার্কিং করা হয়েছে। তিনি যাত্রীদের মার্কিং অনুযায়ী বসার অনুরোধ করেন। লঞ্চেও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, টিকেট করে লঞ্চে উঠার বিষয়টি আলোচনা করব। টিকেট করে লঞ্চে উঠার বিষয়টি বাস্তবায়নের আমাদের এটাই হচ্ছে সুবর্ণ সুযোগ ও সময়। এটাকে বাস্তবায়ন করার যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিডিয়াকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যন্ত করোনা ঝুঁকির মধ্যে আছে। বাংলাদেশে ৬০ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। আসলে কোয়ারেন্টিন, লকডাউন, আইসোলেশন শব্দগুলোর সঙ্গে আমরা ব্যক্তিগতভাবে আমি পরিচিত ছিলাম না। সাধারণ ছুটি ৬০ দিন অতিক্রম করেছি। ৬০ দিনে আল্লাহর রহমতে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার কোথাও কোনো অবনতি ঘটেনি। এটা একটা বিরাট সাফল্য। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান হয়েছে, মৌসুমি ঝড় হয়েছে এবং বিভিন্ন রকম কার্যক্রম থাকার পরও ৯৫ ভাগ মানুষ নির্দেশনা মেনে চলেছে। কিছু কিছু মানুষ মেনে চলেনি, তা পাঁচ-সাত ভাগ হবে। কোথাও বিশৃঙ্খলা হয়নি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশে সাময়িক ছুটি বাতিল করে সরকার ১৫ তারিখ পর্যন্ত একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। গণপরিবহন সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে সিদ্ধান্তের আলোকে নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও নৌবিধি মেনে ঢাকা সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন রুটে ১৩টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে।