পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা ইস্যু কক্সবাজারের গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।’ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলায় সৈকত ফাঁড়িতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সম্মেলন কক্ষে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ড. বেনজীর আহমেদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

আইজিপি বলেন, ‘অপরাধ দমন ও শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রতিনিয়ত প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হয়। সুতরাং পুলিশকে জনগণের ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। দে‌শের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি রো‌হিঙ্গা ইস্যু যে‌নো কো‌নোভা‌বেই হুম‌কির কারণ হ‌য়ে না দাঁড়ায় সে‌দি‌কে ক‌ঠোর দৃ‌ষ্টি দি‌তে হ‌বে।’

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এখানে গতানুগতিক পুলিশিংয়ের পরিবর্তে গোয়েন্দা তথ্য নির্ভর পুলিশিং করতে হবে। নজরদারি বাড়াতে হবে।’ সে সময় আইজিপি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় এপিবিএনের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. মোশারফ হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেনসহ জেলা পুলিশ, এপিবিএন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, সিআইডি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং অন্যান্য ইউনিটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ইউনিটের চলমান কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা আইজিপির সামনে তুলে ধরেন।