রূপগঞ্জে তৈমূরের অনুষ্ঠানে হামলা, মান্নার গাড়ি ভাঙচুর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের গ্রামের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তৈমূর আলম খন্দকারসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ব্যক্তিগত গাড়িসহ মোটরসাইকেল।
আজ সোমবার বিকেলে রূপগঞ্জের রূপসী গ্রামে তৈমূর আলম খন্দকারের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির কামনায় দোয়া মাহফিল এবং তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলার সময় মঞ্চ থেকে টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলা হয় তৈমূর আলম খন্দকার, তাঁর মেয়ে মার-ই-য়াম খন্দকার, মাহমুদুর রহামন মান্নাসহ অনেককে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। মঞ্চ থেকে নেতাদের ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়, মারধর করা হয় কর্মীদের। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন কয়েকজন। হামলাকারীরা মঞ্চ এবং মাহামুদুর রহমান মান্নার গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা দিগ্বিদিক়্ ছোটাছুটি করতে থাকে।
পরে মাহমুদুর রহমান মান্না এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী গ্রামে একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। বিএনপিনেতা তৈমূর আলম খন্দকার এবং তাঁর নাতির জন্মদিন ছিল। খুবই একটি সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান। তাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল। অনেক লোক এসেছিল। তাঁর আমার কথা শুনতে চায়, সেই হিসেবে একটা মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।’
‘সেখানে যখন কথা বলছিলাম, তখন পাশ থেকে আওয়ামী লীগের যারা যুবলীগ, ছাত্রলীগ যেই হোক তারা এসে হামলা করে। তারা অন্তত ১৫টি রামদা নিয়ে এসে হামলা করে। তারা সরাসরি মঞ্চে এসে আঘাত করে। ব্যানারটা তাদের রামদার কোপে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এরই মধ্যে যারা মঞ্চে ছিলেন, যারা উদ্যোক্তা তারা একটা মানববর্ম তৈরি করে আমাকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। কিন্তু এর আগেই তারা আমার গাড়ির চালককে মারপিট করে গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে অনেক ক্ষতি করে। পরে জেনেছি তারা আরো কয়েকটি মোটরসাইকেল নষ্ট করেছে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ‘খুবই নিন্দনীয় বিষয় এটাই যে, সাধারণভাবে একটা সামাজিক অনুষ্ঠানে পর্যন্ত কথা বলতে দেওয়া বন্ধ করার সরকারের যে হীন চেষ্টা; যা আমরা কিছুদিন ধরেই লক্ষ করছি। কিছুদিন আগে বামদের একটা সভা যেটা ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের অংশ ছিল, তারা লংমার্চ করছিল। তাদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। এ ছাড়া আমাকে মুন্সীগঞ্জের সভায় কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এ রকম একটা অন্যায় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা চলছি। আমি আহত হয়েছি, আরো অনেকে আহত হয়েছে। কিন্তু রামদার কোপ সরাসরি আমার গায়ে লাগেনি এজন্য আমি ভালো আছি।’